শাহ্ মোঃ মামুনুর রহমানঃ হবিগঞ্জ জেলা সদরের সঙ্গে বানিয়াচং উপজেলার মক্রমপুর, সুজাতপুর, মন্দরী, মুরাদপুর, পৈলারকান্দি ইউনিয়ন এবং কিশোরগঞ্জ জেলার হাওরবেষ্টিত মিঠামইন উপজেলার যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হবিগঞ্জ-সুজাতপুর আঞ্চলিক সড়ক। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির বেহাল দশা এখন জনদুর্ভোগের অপর নাম।
খানাখন্দে ভরা এই রাস্তায় কোথাও কোথাও বড় গর্তে জমে থাকা পানি ছোটখাটো পুকুরে রূপ নিয়েছে। সড়কটি প্রথম কার্পেটিং করা হয় ২০০৩ সালে। পরে জনগণের দাবির মুখে ২০২২ সালে আংশিকসংস্কার করা হয়। কিন্তু মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে নির্মাণ কাজের নিম্নমান এবং ঠিকাদারি অনিয়মের কারণে সড়কের অধিকাংশ জায়গায় আবারও গর্তভাঙাচোরা অবস্থা দেখা দিয়েছে।
ও সড়কে ঝুঁকি: প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, রোগী, শ্রমজীবী মানুষ এবং কৃষকেরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ভাঙা রাস্তায় প্রায়শই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় রাস্তায় জমে থাকা পানির নিচে গর্ত দেখা না যাওয়ায় বিপদের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এনিয়ে এই রাস্তায় চলা কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।
রাস্তা নিয়ে মক্রমপুর ইউনিয়নের পাথারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মতিন বলেন- আওয়ামী লীগ আমলে এই রাস্তায় কোটি টাকার কাজ হয়েছে, কিন্তু কাজ হয়েছে নিম্নমানের। দুর্নীতির কারণে আজ রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
আমরা দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। নইলে যাত্রী ও চালকদের নিয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো। সড়কটিকে যাতায়াতের উপযোগী করার জন্য এখনো প্রকল্প অনুমোদন হয়নি বলে বানিয়াচং উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। তবে বার্ষিক অন্তর মেরামত কর্মসূচীর তালিকায় আছে বলে কার্যালয়টি জানায়।